মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
পৃথিবীর বয়স হয়েছে। দিনে দিনে মানুষ নামক এই শব্দের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে ‘অ’ বর্ণটি। যোগফল কি দাঁড়ায় নিজেরাই দেখে নেবেন। তেমনি একটি বিকৃত মানসিকতার পরিচয় মিলেছে বান্দরবানের লামা উপজেলায়। নিজের মেয়ে জামায়ের হাতে লালসার শিকার হয়েছে শাশুড়ি।
লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বরিশাল পাড়ার মনোয়ারা বেগম(৪৫) বলেন, গত ১৭মে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বাথরুমে যেতে ঘরের বাহির হই। স্বামী ঘুমিয়ে থাকায় একা বাহিরে আসলে পূর্বে উৎপেতে থাকা আমার বড় মেয়ের জামাই আব্দুল হক(৩৫) অন্ধকারে পিছন থেকে আমায় জড়িয়ে ধরে ও শীলতাহানির চেষ্টা করে। মেয়ের জামাই আব্দুল হকের আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পড়ি আমি। অনেক জোরাজুরি করে চিৎকার দিলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ঘরে গিয়ে আমার স্বামীকে জানাই।
বিগত ৩বছর আগে আরেকবার সে একইরকম অপরাধ করে। শুধুমাত্র মেয়ের জামাই, মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাবে এবং লোক লজ্জার ভয়ে সেই বার চুপ করে ছিলাম। আমার বড় মেয়ে রহিমা বেগমের সাথে হকের ২০০৮ সালে তার বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একজন ছেলে আছে। তার নাম হৃদয়(৬)। মেয়ের জামাই মানে সন্তানের মত। সেখানে তার বারবার এই কুরুচিপূর্ণ আচরণ আমাকে বাধ্য করেছে মুখ খুলতে। আমি ন্যায় বিচার পেতে আইনে আশ্রয় নেব।
ভিকটিম বিষয়টি ১৮মে সকালে সামাজের সবাইকে জানায়। এলাকার লোকজন তাকে শালিসে ডাকলে সে বিচারে আসেনা। পরে মনোয়ারা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন’কে মৌখিকভাবে জানায়। স্থানীয়রা জানায় বর্তমানে আব্দুল হক পলাতক রয়েছে।
লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, বিষয়টি মনোয়ারা বেগম আমাকে জানালে আমি ১৮মে বুধবার প্রাথমিকভাবে আব্দুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অস্বীকার করে। তারপরেও সত্য উদঘাটনের জন্য ৫,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বারদের তদন্ত করে খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।
পাঠকের মতামত: